ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রিন্স মুসার মুদ্রাপাচার মামলার প্রতিবেদন পেছালো

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০১৯
  • ২৬৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচারের অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের করা মামলায় আজ বুধবার প্রতিবেদন জমা দেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা।

তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন না দেয়ায় মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আগামী ৭ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল একই আদালত ২৯ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তদন্তকার্রী কর্মকর্তাকে।

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন রাজধানীর গুলশান থানায় মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনে প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।

মামলার অপর তিন আসামি হলেন—মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আইয়ুব আলী আনছারী ও মেসার্স অটো ডিফাইন নামে গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমান।

গত বছরের ২১ মার্চ মুসার ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একটি গাড়ি উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তার পর মুসাকে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। তবে তিনি এই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।

ওই ঘটনায় তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে মামলা করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সুপারিশও করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। পাশাপাশি কর ফাঁকি দেয়া অর্থপাচারের অভিযোগে মামলার অনুমতি চাওয়া হয় রাজস্ব বিভাগের কাছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রিন্স মুসার মুদ্রাপাচার মামলার প্রতিবেদন পেছালো

আপডেট টাইম : ০৫:২১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচারের অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের করা মামলায় আজ বুধবার প্রতিবেদন জমা দেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা।

তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন না দেয়ায় মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আগামী ৭ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল একই আদালত ২৯ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তদন্তকার্রী কর্মকর্তাকে।

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন রাজধানীর গুলশান থানায় মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনে প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।

মামলার অপর তিন আসামি হলেন—মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আইয়ুব আলী আনছারী ও মেসার্স অটো ডিফাইন নামে গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমান।

গত বছরের ২১ মার্চ মুসার ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একটি গাড়ি উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তার পর মুসাকে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। তবে তিনি এই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।

ওই ঘটনায় তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে মামলা করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সুপারিশও করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। পাশাপাশি কর ফাঁকি দেয়া অর্থপাচারের অভিযোগে মামলার অনুমতি চাওয়া হয় রাজস্ব বিভাগের কাছে।